প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলায় নারী ও শিশুরা ‘পুড়ে ছাই’ হয়ে গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, বোমা হামলার ঠিক পর পরই উদ্ধার কর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের প্রতিনিধি। উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। কিছু ভুক্তভোগীকে ‘চেনার মতো ছিল না’, আর অন্যদের দেহ ‘ছোট ছোট টুকরো’ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বোমা হামলার পর বড় ধরনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়।
এদিকে গাজাভিত্তিক আল-আকসা টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ভোর রাতে উত্তর গাজা সিটিতে তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে। সাবরা ও তাল আল-হাওয়া এলাকাগুলো এই হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বেইত লাহিয়া, জাবালিয়া এবং মধ্যাঞ্চলের নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরেও ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ হয়েছে। তবে এখনো হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ০৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৪ হাজার ৫৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫৩৮ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ, যাদের জীবিত থাকার আশা নেই বললেই চলে।
অন্যদিকে, লেবাননে চলমান সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪ হাজার ৪৭ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ৬৩৮ জন আহত হয়েছেন।