স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং তার ভাই সৈয়দ মঈনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মানহানির মামলা দায়েরের পর কুলাউড়া অঞ্চলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ১৫ মে, ২০২৪ তারিখে কুলাউড়া উপজেলা যুবলীগ এর দপ্তর সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জাফর আহমেদ গিলমান মৌলভীবাজার জেলা জজ কোর্ট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, জনাব গিলমান প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান শফি আহমেদের ভাই বলে জানা গেছে। জনাব শফির সাথে অনেক দিন ধরে আমিরুল ইসলাম এর সাথে নানান বিষয়ে দ্বন্দ চলে আসছিলো।
এ ব্যাপারে আমিরুল ইসলাম কানাডা থেকে জানান, এ মামলাটি পুরোপুরি মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলা। কারন মামলার উল্লেখিত তারিখে তিনি দেশেই ছিলেন না। তিনি বলেন, শফি এবং রুমেলসহ তার গুন্ডা বাহিনী দেশে থাকাকালীন তাকে নানান ভাবে নির্যাতন এবং লাঞ্চিত করে।
এ ব্যাপার এ একটি মামলা করা হলেও তিনি কোনো বিচার পাননি এবং পুলিশ এর কাছ থেকে তিনি কোনো সাহায্য পাননি। যার প্রেক্ষিতে তিনি দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তার মামলা প্রত্যাহার না করায় ক্ষুব্দ হয়ে এই পাল্টা মামলা করা হয়েছে বলে জানান আমিরুল।
দায়ের করা এই মামলাটি স্থানীয় বাসিন্দা এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা বানোয়াট, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড বলে ব্যাপকভাবে নিন্দা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রতিবেশীরা নিশ্চিত করেছেন যে মামলার দাবিগুলি ভিত্তিহীন এবং জ্ঞাত তথ্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।
“এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটি কাজ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা সকলেই জানি আমিরুল জানুয়ারি মাস থেকে কানাডায় আছেন। কীভাবে তাকে এমন কিছু কাজের জন্য অভিযুক্ত করা যেতে পারে যা শারীরিকভাবে তিনি করতে পারতেন না?” নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সম্মানিত স্থানীয় স্কুল শিক্ষক বলেন।
“আইনি প্রক্রিয়াকে কীভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, এটি তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। দেশের বাইরে থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা ন্যায়বিচার চাওয়ার পরিবর্তে হয়রানির উদ্দেশ্য প্রকাশ করে,” মৌলভীবাজারের একজন স্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবী বলেন।
কুলাউড়া এলাকার বাসিন্দারাও এই মামলার ঘটনার প্রতি তাদের অবিশ্বাস এবং হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকেই আমিরুলের পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য গিলমান আহমেদ এবং তার ভাই জনাব শফি আহমেদ কে কয়েকবার ফোন দিলেও তারা কথা বলতে রাজী হননি। সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।