সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এক নাগরিক আব্দুল মুকিত খানকে তাঁর নিজ বাসায় নৃশংসভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের অনুগত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী জানান, ২০১৮ সালে একজন মধ্যস্থতাকারী সিজুল মিয়ার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী জহুরা বিবির সঙ্গে তাঁর বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পরপরই জহুরা বিবি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং পরবর্তীতে ব্রিটেনে নেওয়ার আশ্বাসে মুকিত খানের কাছ থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।
পরে তদন্তে জানা যায়, জহুরা বিবি অতীতে এভাবে আরও অনেক পরিবারকে প্রতারণার শিকার করেছেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মুকিত খান জাহুরার চাচা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মোঃ হাসনাত হোসেনের বাসায় কিছু সমাজপতি নিয়ে যান সমাধানের উদ্দেশ্যে। তবে হাসনাত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে তাদের হুমকি দেন।
এরপর এপ্রিল মাসে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ রাজনৈতিক চাপে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। গত মে মাসে জহুরা বিবি ফোনে মুকিতকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জহুরা হুমকি দিয়ে বলেন, যদি আবারো যোগাযোগ করা হয়, তাহলে মুকিত ও তার পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ জুলাই ২০২৩ সন্ধ্যায় একদল মুখোশধারী লোক তাঁর বাসায় ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। হামলাকারীরা হাসনাতের কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যাওয়ার অপরাধে মুকিতকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আব্দুল মুকিত খানকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্টরা কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।