গত ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ থানার স্থায়ী বাসিন্দা ইশরাত জাহান কে আসামী করে একটি বিতর্কিত অর্থ পাচারের মামলা করা হয় বলে জানা যায়। এতে তার পরিবার, প্রতিবেশী ও এলাকাতে ব্যাপক সমালোচনা এবং ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মামলাটিতে ইশরাত জাহান এর ভাই সরদার মাইনুদ্দিনকেও আসামি করা য়েছে। এ মামলাটি চট্টগ্রাম গোয়েন্দা শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. ওয়াকিল মিয়া দায়ের করেছেন বলে জানা যায়।
পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, মামলাটি ইশরাত জাহান এর ননদ রেহানা ইসলাম এবং তার স্বামী মোশাররফ মিয়া করিয়েছেন বলে জানা যায়। উল্লেখ যে, মো. ওয়াকিল মিয়া চাচাতো ভাই হলেন এই মোশাররফ মিয়া।
এ ব্যাপার এ ইশরাত কানাডা থেকে জানান ,এই মামলাটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলা। তিনি বলেন, তার ননদ রেহানা ইসলাম এবং তার স্বামী মোশাররফ মিয়া মিলে তার পৈতৃক দুটি ফ্লাট অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছেন এবং বিগত ৫ জানুয়ারী, ২০২৫ তারিখে ইশরাত অবৈধভাবে দখলকৃত ফ্ল্যাট ফেরত দাবি করে একটি আইনি নোটিশ পাঠানোর কয়েক সপ্তাহ পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তিনি আরো বলেন, তিনি দেশে থাকাকালীন সময় রেহানা এবং তার স্বামী তাকে নানান ভাবে নির্যাতন এবং লাঞ্চিত করেছেন। এ ব্যাপার এ পাঁচলাইশ থানায় জিডিও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইশরাতের পরিবার এবং প্রতিবেশীরা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং তাকে তার বৈধ মালিকানাধীন সম্পত্তি ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভয় দেখানোর চেষ্টা। “এটি ইশরাত জাহান এবং তার পরিবারের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়,” প্রতিশোধের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন।
এ মামলা দায়েরের পরপরই, পুলিশ ২৭ জানুয়রী তার ভাই সরদার মাইনুদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায় এবং
তাকে দুই দিন আটক রাখে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের আইনি ও রাজনৈতিক পরিবেশ অনিশ্চিত থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এ ব্যাপারে ওয়াকিল মিয়া কিংবা তার কাজিন মোশাররাফ মিয়া কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।