শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

দিরাই এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং মানবাধিকারকর্মী মিনাজ আহমেদ এর পেট্রোল পাম্পে হামলা এবং লুট

দিরাই প্রতিনিধি: / ৫৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩

দিরাই উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিনাজ আহমেদ-এর মালিকানাধীন একটি পেট্রোল পাম্পে গত ৭ মার্চ ২০২৩ তারিখে সংঘবদ্ধ এক উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল ওইদিন রাত আনুমানিক ৯.৩০ মিনিটে পেট্রোল পাম্পে হামলা চালিয়ে অফিস কক্ষ ভাঙচুর করে, জানালা-দরজা চুরমার করে এবং নগদ অর্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক নথিপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংখ্যালঘু অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মিনাজ আহমেদ, একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মানবাধিকারকর্মী, দীর্ঘদিন ধরে তিনি দিরাই এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রেখে চলেছেন।

তার এ কর্মকাণ্ড সংখ্যালঘুদের মধ্যে প্রশংসা পেলেও, ইসলামি উগ্রপন্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় কিছু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্ট নেতাদের রোষানলে পড়েন তিনি।

আহমেদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তিনি গত কয়েক বছর ধরে উগ্রবাদী গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক মহল থেকে বারবার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। হামলার পূর্বেও তিনি স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উপর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তবে এসব সতর্কতা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে কোনো কার্যকর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। “এটা অত্যন্ত দুঃখজনক,” সাংবাদিকদের কাছে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন মিনাজ আহমেদ। “আমি একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, হুমকির কথা জানিয়েছি। কিন্তু আমার অভিযোগ গুরুত্ব পায়নি। এখন আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে, আর আমার জীবন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।”

এখানে উল্লেখ্য যে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর সভাপতি এবং এলাকার প্রভাবশালী নেতা কামাল উদ্দিন এর সাথে অনেকদিন ধরে মিনাজ আহমেদ এর জমি সহ নানান বিষয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাতে চাঞ্চল্য এবং ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে কামাল উদ্দিনকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে বলে জানান এবং এ নিয়ে তারা তদন্ত করবেন বলে জানান।


আরো সংবাদ পড়ুন...