বড়লেখার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ এর স্ত্রী এবং কন্যাদের বিরোধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ উঠেছে। মামলাটি বিগত ০৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ঢাকা জেলা জজ কোর্ট এ মামলাটি দায়ের করেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আফসার উদ্দিন। এই মামলায় শাকিলের স্ত্রী নিলুফা পারভিন ও তার দুই কন্যাকে “অসামাজিক ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে” লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা পরিবারের পক্ষ থেকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক বলে দাবি করা হয়েছে।
নথিপত্র অনুযায়ী, মামলাটির বাদী ঢাকা উত্তরার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন মৌলভীবাজারের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা মোঃ নাজমুল ইসলাম এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
জানা গেছে, শাকিল আহমেদ জনাব নাজমুল ইসলাম এর সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বে যেতে অস্বীকৃতি জানানোর পর থেকেই তার ও তার পরিবারের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়।
বর্তমানে কানাডায় বসবাসকারী শাকিল আহমেদ এই মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন:
“এই মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি আমার স্ত্রী ও কন্যাদের সমাজে অপমানিত করার জন্য একটি কুৎসিত ষড়যন্ত্র। একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ শুধু মানহানিকরই নয়, অত্যন্ত বিপজ্জনকও,” — টরন্টো থেকে ফোনে বলেন শাকিল আহমেদ।
“এই মিথ্যা মামলার কারণে সমাজে আমাদের দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সুনাম নষ্ট হয়েছে। সমাজে তাদের অবাঞ্চিত ঘোষনা করার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা একসময় আমাদের সম্মান করত, তারাই আজ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”
তিনি জানান, মামলার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার তাদের বাসায় গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে এবং আদালতের সমনও পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও জানা গেছে,এই মামলাকে কেন্দ্র করে মৌলভীবাজার এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ লোকজন গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে শাকিলের স্ত্রী ও কন্যাদের চরিত্রহননের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে তারা কানাডায় অনৈতিক পরিবেশে কাজ করছে এবং ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত।
আইন বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মীরা এই মামলাকে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ” বলে অভিহিত করেছেন। তারা অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও শাকিল পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এই মামলার প্রেক্ষিতে সাধারণ জনগণের মধ্যেও প্রশ্ন উঠেছে—নিরাপত্তা ও সুবিচারের আশায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া একজন ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবার কি শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন?
এই মামলার ব্যাপারে বাদী আফসার উদ্দিন এবং মোঃ নাজমুল ইসলামকে ফোন কয়েকবার ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেননি। সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইন চার্জ এই মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।