শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

বিএনপি’র ক্ষমতার দম্ভোক্তি ও চাঁদাবাজির মহোৎসব কি ফ্যাসিবাদের অশনি সংকেত?

বগুড়া সংবাদদাতা: / ৭৩ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের ঝাঁকুনি যেতে না যেতেই বিএনপি নেতা, মোরশেদ মিল্টন হুমকি চাঁদাবাজি ও সুযোগের অপব্যবহার যেন পুরানো ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকারের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।

সূত্রে প্রকাশ, বগুড়া শহরের বাসিন্দা ফারহানা পারভীন একজন সম্ভ্রান্ত ঘরের সদস্য। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্তরত একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার স্ত্রী হওয়া সত্তে¡ও তার জীবনে নেমে আসে এক দুর্বিষহ অন্ধকার। পারিবারিক অন্তকলহ হতে সমস্যা সৃষ্টি হলেও ফারহানা ও তার স্বামীর সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, ফারহানা শুধু তার স্বামী কর্তৃক লাঞ্ছিতই হয়নি বরং তার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের দ্বারাও তার জীবন নেমে আসে দুর্বিষহ অন্ধকার।

ফারহানার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, স্বামীর নির্যাতন ও অনৈতিক কাজে বাঁধা দেওয়ায় ফারহানা ও তার সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার জন্য তিনি ব্রাজিল হতে পলায়ন করে কানাডায় গমন করেন এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। তার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা তখনকার সরকারের ছত্রছায়ায় এই ঘটনায় ফারহানার বিরুদ্ধে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে অপহরণের মামলা দায়ের করায়।

সম্প্রতি ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে আওয়ামী সরকারের পতন হলে ফারহানার স্বামী বিএনপির নিজস্ব বলয়ের ক্ষমতা ও নেতৃত্বকে ব্যবহার করে ফাইলকৃত অপহরণ মামলাটির সচল করার বিষয়ে উদোগ নেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও বিএনপির সমর্থক দিয়ে ২০২৪ এর ডিসেম্বর মাসে ফারহানার বাড়িতে তল্লাশি চালায় ও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

পুলিশ এমনকি ফারহানার বাবা জনাব শাখাওয়াত হোসেন এর নিকট ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে। এছাড়া ফারহানার বর্তমান অবস্থানের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে এক মাসের মধ্যে থানাকে অবহিত করতে নির্দেশ প্রদান করে। অন্যথায়, জনাব শাখাওয়াত হোসেনকেও উক্ত মামলার আসামী করে গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকি দেয়।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করা হলে কর্মরত পুলিশ উক্ত মামলার নভেম্বর ২০২৪ মাসে একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ সক্রিয় আছে বলে অত্র প্রতিবেদককে অবগত করে। পুলিশ চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করে এবং বিএনপি সমর্থকদের উপর দোষ চাপায়।

এই ঘটনায় ফারহানা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপ চরম হুমকি বিদ্যমান বলে প্রতীয়মান হয়। এমনকি, নিরাপত্তার অভাবে ও গ্রেফতার আতংকে ফারহানার পরিবারের সদস্যরাও আত্মগোপনে আছেন।

দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাংখায় ফ্যাসিবাদের পতন হলেও উপরোক্ত ঘটনা, বিএনপির দম্ভ ও চাঁদাবাজির আবারো কি আর একটি ফ্যাসিবাদের আগমনেরি ইঙ্গিত বহন করে? জনমনে দেখা দিয়েছে এ নিয়ে বিরাট আতঙ্ক ও প্রশ্ন।


আরো সংবাদ পড়ুন...