বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পাঁচটার দিকে পাঁচ্চর রেল সেতুতে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিথিলা আক্তার শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নের আবু খলিফা ওরফে মিজান সরদারের মেয়ে ও গুরুতর আহত আয়শা মাদবরেরচর ইউনিয়নের নাসিরেরমোড় এলাকার সুজন মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, ১১ মাসের ভাগ্নী আয়শাকে নিয়ে বিকেলে বাড়ির কাছে ঘুরতে বের হয় আয়শা। ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে মধুমতি এক্সপ্রেস। এ সময় আয়শা মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলছিল। অসাবধানবশত ট্রেনের পাশে থাকায় পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দেয় মধুমতি এক্সপ্রেস।
ঘটনাস্থলেই মারা যায় মিথিলা, গুরুতর আহত হয় তার কোলে থাকা ১১ মাসের আয়শা। পরে তাকে পাঁচ্চর রয়েল প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেলে শিশুকে প্রেরণ করে চিকিৎসক।
পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা.সঞ্জীব কুমার রায় বলেন, ‘বাচ্চাটির বয়স ১১ মাস হবে। বাচ্চাটির হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকায় প্রেরণ করেছি। শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.মোকতার হোসেন বলেন,’ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যুর খবর পেয়েছে। তার সাথে থাকা একটা বাচ্চাও গুরুতর আহত হয়েছে।