সিলেট মদনমোহন কলেজের ছাত্রী সানজিদা রশিদ তাহা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা তাহমিদ আল মামুনের নেতৃত্বে অপহৃত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে কলেজ থেকে ফেরার পথে তাহাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ছাত্রলীগ নেতা তাহমিদ আল মামুন। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাহা তাঁকে আর বিরক্ত না করার অনুরোধ জানান। তবে এর পরদিনই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে কলেজ থেকে ফেরার পথে তাহাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। এ সময় অপহরণের নেতৃত্ব দেন তাহমিদ আল মামুন। খবর পেয়ে তাহার বাবা-মা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে ডিউটি অফিসার এসআই খিতিশ কুমার জানান, “তাহা স্বেচ্ছায় মামুনের সঙ্গে গেছেন এবং বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছেন।” এতে পরিবার বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়।
এরপর একদল স্বজন নিয়ে তাহার বাবা-মা মামুনের বাসায় গেলে মামুনের মা জানান, তাহা ঘরে বিশ্রামে আছেন। কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখা যায়, তাহা একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে এবং তিনি তখন অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাহা পরিবারকে জানান, তাঁকে যৌন নির্যাতন করা হয়নি তবে পানি খাওয়ার সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অচেতন করার পর জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়।
পরিবারের দাবি, এ ঘটনায় তাহার শিক্ষাজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে। তাঁরা অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।