সিলেটের দক্ষিণ সুরমা নিবাসী একটি পরিবার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রতিহিংসা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আইনজীবীর সূত্রে জানা গেছে, মোসাম্মৎ রহিমা বেগম ও তাঁর পরিবার বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন।
সর্বশেষ, পরিবারের এক সদস্য মো. সাইস্তা মিয়ার অভিযোগে উঠে এসেছে ভয়াবহ নির্যাতন, বেআইনি গ্রেপ্তার এবং প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা মামলার বিস্তারিত বিবরণ।
গত ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা রহিমা বেগমের বাসায় অভিযান চালায়। ঐ সময় বাসায় না থাকায়, তার দেবর মো. সাইস্তা মিয়াকে পাশের এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং পরিবারের অবস্থান জানাতে চাপ সৃষ্টি করা হয়। তাকে মুক্তি পেতে ঘুষ দাবি করা হয়, তবে তিনি পরদিন, ৫ আগস্ট, রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ছাড়া পান।
এরপর ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, মো. সাইস্তা মিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং একটি অনুলিপি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠান। কিন্তু অভিযোগের সঠিক তদন্ত না করে, পুলিশ উল্টো তার বিরুদ্ধে হুমকি ও হয়রানি শুরু করে।
গত জানুয়ারিতে পুলিশ তার বাসায় এসে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয় এবং মিথ্যা অর্থপাচারের অভিযোগ তোলে। পরে বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ রহিমা বেগম, তার স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে একটি অর্থপাচারের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এই পরিস্থিতিতে সাইস্তা মিয়া আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন।
আইনজীবীর ভাষ্য অনুযায়ী, এই পরিবার ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা একটি গোষ্ঠীর দ্বারা টার্গেট হয়েছেন। তাদের ওপর নেমে আসা দমন-পীড়ন, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হেনস্থা এ কথারই সাক্ষ্য দেয় যে, তারা প্রকৃত অর্থেই নিপীড়নের শিকার।
এ ব্যাপারে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।